The human chain against atrocities on Hindus in Bangladesh
October 19, 2021খোকসায় দূর্গা প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা
কুষ্টিয়ায় খোকসায় গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা একটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে দূর্গা প্রতিমাসহ ৪টি প্রতিমার মন্ড (মাথা) ও অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভাংচুর করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিনগত গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত¡ ওসমানপুর ইউনিয়নের শতবর্ষী আজইল সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা দূর্গা প্রতিমাসহ ৪টি প্রতিমা ভাংচুর করে। এসময় পূজা কমিটির লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনা পরিদর্শন করেছেন। সার্বজনীন দূর্গা পূজা শুরুর ১০ দির আগে এ প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটলো।
আজইল সার্বজনীন পূজা মন্দিরের পাহারাদার প্রলয় জানান, শনিবার দিনগত রাত ৩ টা পর্যন্ত তারা দুইজন মন্দিরে পাহারা দেয়। বিছানায় যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে শব্দ পেয়ে তিনি মন্দির আঙ্গিনায় আসেন। এ সময় লুঙ্গী কাছা দেওয়া তিনজন দুর্বৃত্ত¡ দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর মন্দিরের বাইরে তারা দুটি প্রতিমার মাথা পরে থাকতে দেখে।
মন্দিরের জমিদাতা বিশ্বনাথ পাল দাবি করেন, মন্দিরের নামে দেবত্তোর জমি-জমা নিয়ে বিরোধ কেন্দ্র করে একটি পরিবার চার বছর আগে গ্রামে মহামায়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দির নামে নতুন একটি মন্দির তৈরী করে। ইতোমধ্যে নতুন মন্দির কমিটির সভাপতি পুরাতন মন্দিরর কমিটির বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে একটি মামলা করেছেন। এবারে তারা পূজা শুরুর ১০ দিন আগে মন্দিরে হামলা করে প্রতিমা ভাংচুর করেছে। তিনি এর বিচারের ভার ওপর ওয়ালার কাছে ছেড়ে দিয়েছন।
পুরাতন মন্দির কমিটির সভাপতি চন্ডি ঘোষ জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ হামলা হতে পারে। তবে তারা লোক চিনতে না পারায় মামলার পথে হাটছেন না।
মহামায়া সার্বজনিন পূজা মন্দিরের সভাপতি গৌর পদ বিশ্বাসের সাথে কথা বলার জন্য তার বাড়ি ও মন্দিরে যাওয়া হয়। তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকেরাও তার ফোন নম্বর দিতে রাজি হন নি।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুধাংশ বিশ্বাস মধাব বলেন, প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়ে শোনার পর তিনি ঘটনা স্থলে গিয়ে ছিলেন। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে অধিকতর তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। এরা সার্বজনীন এ পূজা শুরুর ১০ দির আগে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় তিনিও চিন্তিত।
ওসি (তদন্ত) মামুনুর রশিদ জানান, এ ব্যাপারে কোন এজাহার পাওয়া যায়নি। কেউ আটক হয়নি। তদন্ত চলছে। তদন্তে সত্য বেড়িয়ে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন, প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়টি স্পর্শকাতর। পুলিশ তদন্ত করছে। তিনি নিজে সরেজমিন গিয়েছেন। তদন্তের মাধ্যমে সত্য বেড়িয়ে আসবে। এ ছাড়া বিবাদ পূর্ণ দুই মন্দির কমিটি ও স্থানীয়রা বসবে বলেও তিনি আভাষ দেন।